প্রকাশের তারিখ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেলকুচি উপজেলা চত্বরে প্রকৃতির অপরূপ সাজিয়ে অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত
শীতের আগমনী হাওয়ায় অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা চত্বর। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত অতিথি পাখির উড়াউড়ি ও কিচিরমিচিরে পুরো পরিবেশ যেন এক অন্যরকম রূপে সেজে উঠেছে। প্রকৃতির সঙ্গে জীববৈচিত্র্যের এ মেলবন্ধন এখন এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু।স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর অতিথি পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে শামুকখোল প্রজাতির পাখির ঝাঁক সকাল-বিকেল আকাশে ডানা মেলে খেলায় মেতে ওঠে। এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ভিড় করছেন উপজেলা চত্বরে। অনেকে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যা এলাকাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।শুধু স্থানীয় নয়, বাইরের দর্শনার্থীরাও এখন ছুটে আসছেন বেলকুচি উপজেলা চত্বরে। পাখিদের একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে উড়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ফলে উপজেলা চত্বর এখন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে এক নতুন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।বেলকুচির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদী অতিথি পাখিদের খাদ্যের প্রধান উৎস। বিশেষ করে শামুকখোল সহজেই নদী ও আশপাশের জলাশয় থেকে শামুক সংগ্রহ করতে পারে। এলাকাবাসীর দাবি, এখানে শিকারিদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। ফলে নির্ভয়ে আশ্রয় নিতে পারছে অতিথি পাখিরা।বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান বলেন,“গত বছরের তুলনায় এ বছর অতিথি পাখির সংখ্যা সত্যিই বেড়েছে। যমুনা নদী থাকার কারণে খাদ্যের কোনো অভাব হয় না। তাছাড়া এখানে কেউ পাখি শিকার করে না। এসব পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, অতিথি পাখিদের টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতাও জরুরি। তারা চান, প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্য যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়।প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের সচেতনতার সমন্বয়ে বেলকুচি উপজেলা চত্বর এখন অতিথি পাখির নিরাপদ আবাসভূমি এবং সম্ভাবনাময় একটি নতুন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত