পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ও পূজাকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে পর্যটকদের আগমন। দিবসটিতে আগত পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন কুয়াকাটার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স সংলগ্ন সৈকতে নামার পথে সকল নারী-পুরুষ, শিশু বৃদ্ধ সকল পর্যটকদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিশ্ব পর্যটন দিবস মানে পর্যটকদের ঘিরে এই দিনে আমরা পর্যটকদের সাথে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজকে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ করে নিচ্ছি। এই আয়োজন আমরা প্রতিবছর অব্যাহত রাখবো। এর আগে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  “টেকসই উন্নয়নে পর্যটন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুয়াকাটা পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈকত এলাকা মহাসড়ক হয়ে পর্যটন হলিডে হোমসে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।র‌্যালিতে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। এতে পুরো কুয়াকাটা শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ উল আলম, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের জোন ইনচার্জ সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, তাছাড়াও আরো বক্তব্য দেন কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র নেতাকর্মী এবং কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোতালেব শরীফ।সভায় বক্তারা বলেন, কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসন ও বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে কুয়াকাটার সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করা সম্ভব।পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এ সময় কুয়াকাটার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সংরক্ষণ, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন এবং আধুনিক পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা গেলে কুয়াকাটা শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের পরিচিতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী আশ্বাস দিয়ে বলেন, কুয়াকাটার উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। পর্যটন শিল্পকে টেকসই উন্নয়নের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।