বগুড়া শহরে বেসরকারি হসপিটালে অ্যাকুরিয়ামে বেশ কয়েক মাস ধরে পালন করতেছিলো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিকালে তীরের সদস্যরা কড়ি কাইট্রা ২টি উদ্বার করে ।হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানতো না যে এটা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। পরে তাদের বোঝালে তারা ভুল বুঝতে পারে এবং তীরে কাছ কাছে হস্তান্তর করে। Indian roofed turtle বা কড়ি কাইট্টা কচ্ছপ পিঠের খোলসের জন্য পরিচিত। দেখে মনে হয়, এর পিঠের ওপর আলাদা একটি ছাদ আছে। বাদামি খোলসের কিনারার দিক হলদেটে কমলা রঙের। খোলসের মাঝের অংশ কমলা বা লালচে কালো ডোরা রয়েছে।এ কচ্ছপের মাথার সামনের অংশ কালো। আর দুই পাশে হলদেটে-লাল দাগ থাকে। রঙের বিন্যাসের কারণে কালো-হলুদ ‘ভি’ হরফের এর মত দেখায়। কড়ি কাইট্টার চোয়াল হলুদ। আর গলার অংশ হলুদ-কালো ডোরাকাটা। পায়েও কালোর উপর হলুদ ফুটকি থাকে।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মূলত- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে এই প্রজাতির কচ্ছপের দেখা মেলে। জলে ও স্থলে কড়ি কাইট্টার বাস। নদী, খালে, পাহাড়ে জলাভূমির কাছাকাছি এবং নদী-খালের তীরে এরা থাকে। জলজ গাছপালা, আগাছা, ছোট কাঁকড়া ও শামুক এবং লতাপাতা খেয়ে এরা বাঁচে। তীরের উপদেষ্টা শফি মাহমুদ বলেনবাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। এছাড়া দা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার এর বিপদ সীমায় আগত এই লাল তালিকাভুক্ত কড়িকাইট্রা কচ্ছপ। কড়ি কাইট্টা পোকা-মাকড় খেয়ে পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।তীরের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন বর্তমানে চোরা শিকারি এবং সতনাতন ধর্মীয় উৎসবের জন্য কচ্ছপ শিকার করা হয় যা খুবই দুঃখজনক বিষয়। মানুষের জন্য এখন প্রকৃতি থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।আমাদের নিজেদের এই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে । এতে করে আমাদের প্রকৃতি থাকবে সমৃদ্ধশীল।কড়ি কাইট্রা দুটি অবমুক্ত সময়উপস্থিত ছিলেন ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম , উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, তীরের উপদেষ্টা জনাব, শফি মাহমুদ, তীরের সাবেক সভাপতি হোসেন রহমান , সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য রিফাত সহ আরো অনেকই।উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)’ ২০১১ সাল থেকে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। সংগঠনটি ২০২১ সালে “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার” লাভ করে।