বেলকুচি-চৌহালীতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে বিএনপিতে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে ঐক্যের জোয়ার। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবরটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে।বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এবং সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) এনায়েতপুর আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সুপারিশে এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি আসে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে, এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহম্মেদের স্বাক্ষরিত পত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।এ সিদ্ধান্তের ফলে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের ভুল বোঝাবুঝি, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটিয়ে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির নতুন সূচনা হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।আজ ১৭ নভেম্বর দুপুরে (বেলকুচি-চৌহালী) এনায়েতপুর বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁরা উভয়েই বলেন— “এটি বিএনপির মাঠের রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।”স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে— “বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় বিএনপির শক্ত ঘরবাড়ি আরও সুসংহত হলো। সামনে যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে বেলকুচি-চৌহালীতে এখন ঐক্যই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি।”এ সিদ্ধান্তের পর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস, স্বস্তি ও নবউদ্দীপনার বাতাবরণ লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের মাঝেও দলীয় ঐক্যকে ঘিরে ইতিবাচক আলোচনা চলছে।অনেকেই প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন— “আলহামদুলিল্লাহ… সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এই ঐক্যই ধানের শীষের বিজয়ের প্রথম ধাপ।”বেলকুচি-চৌহালীর রাজনীতিতে এ সিদ্ধান্ত যে নতুন অধ্যায় রচনা করবে— তাতে কোনো সংশয় নেই।