কলাপাড়ায় ভুয়া ডাক্তারের এক মাসের কারাদন্ড
পটুয়াখালীর মহিপুরে হারুন অর রশিদ (৪২) নামের এক ভূয়া দন্ত চিকিৎসককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদেক।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৎস্য বন্দর মহিপুরের ‘এশিয়া ডেন্টাল সেবা কেন্দ্র’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে হারুন অর রশীদ নামের আগে 'ডাক্তার' লিখে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি তিন থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতেন। দাঁতের চিকিৎসক না হয়েও ভাইয়ের ব্যবস্থাপত্রে রোগী দেখতেন তিনি। একই সময় চোখের চিকিৎসা সেবাও প্রদান করতেন তিনি।নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদেক বলেন, হারুন অর রশীদ ডাক্তার সেজে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় এ কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় ঘোষণার পর ভূয়া ডাক্তারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চার বছরের শিশু আদনানকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তার পরিবার। চক্ষু সেবা কেন্দ্রের মালিক ডাক্তার আব্দুল হাকিমের কাছে রোগী নিয়ে গেলে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সাইনবোর্ডে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করেন। ফোনে হাকিম পরিচয় দিলেও কিছুক্ষণ পর তার ভাই হারুন এসে হাকিম সেজে চিকিৎসা দেন। পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।