
বরগুনার তালতলী উপজেলা শহরের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি চক্রের হোতা আল আমিন হাওলাদারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পটুয়াখালী র্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী সবুজবাগ এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চোর চক্রের হোতা আল আমিনকে গ্রেপ্তারের খবরে তালতলী বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তারা তার কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার তালতলী বন্দরের মৃত্যু বারেক হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তালতলীসহ বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। গত বছর ৫ আগষ্টের পরে তালতলী বন্দরে শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ সকল ঘটনায় চোর চক্র অধরাই রয়ে যায়। তখন থেকেই অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাহবুবুল আলম মামুনের সেল্টারে তার চাচাতো ভাই আল আমিন হাওলাদার এ সকল চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে আরো অভিযোগ করেন তালতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান অসিম।
গত ২৭ আগষ্ট গভীর রাতে তালতলী বন্দরের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাজারের নৈশ প্রহরী মোঃ বায়েজিদ ও পনুকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোর চক্রের মুল হোতা আল আমিন হাওলাদারের কথা তারা স্বীকার করে। এ ঘটনায় জুতা ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে তালতলী থানার আল আমিনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী আল আমিন গা-ঢাকা দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী র্যাব-৮ সদস্যরা বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওইদিন রাতে র্যাব-সদস্যরা তাকে তালতলী থানায় সোপর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন হাওলাদার বলেন, গত এক বছরে তালতলী শহরের অন্তত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি হয়েছে। কিন্তু চোর সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশকে জানালেও বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, আল আমিনকে গ্রেপ্তারের খবরে তালতলী বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম মামুন চোর চক্রের হোতা তার চাচাতো ভাইকে সেল্টার দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আল আমিন আমার চাচাতো ভাই হলেও তার অপরাধের দায়ভার আমি নেব না। তার অপরাধের দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আল আমিনের পক্ষে কোথায় কোন সুপারিশ করেছি বলে নজির নেই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ছোট করতেই এমন অপবাদ দিচ্ছে।
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, আসামী আল আমিনকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরগুনার তালতলী উপজেলা শহরের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি চক্রের হোতা আল আমিন হাওলাদারকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পটুয়াখালী র্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী সবুজবাগ এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চোর চক্রের হোতা আল আমিনকে গ্রেপ্তারের খবরে তালতলী বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তারা তার কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার তালতলী বন্দরের মৃত্যু বারেক হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তালতলীসহ বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। গত বছর ৫ আগষ্টের পরে তালতলী বন্দরে শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এ সকল ঘটনায় চোর চক্র অধরাই রয়ে যায়। তখন থেকেই অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাহবুবুল আলম মামুনের সেল্টারে তার চাচাতো ভাই আল আমিন হাওলাদার এ সকল চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে আরো অভিযোগ করেন তালতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান অসিম।
গত ২৭ আগষ্ট গভীর রাতে তালতলী বন্দরের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাজারের নৈশ প্রহরী মোঃ বায়েজিদ ও পনুকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোর চক্রের মুল হোতা আল আমিন হাওলাদারের কথা তারা স্বীকার করে। এ ঘটনায় জুতা ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে তালতলী থানার আল আমিনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী আল আমিন গা-ঢাকা দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী র্যাব-৮ সদস্যরা বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওইদিন রাতে র্যাব-সদস্যরা তাকে তালতলী থানায় সোপর্দ করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন হাওলাদার বলেন, গত এক বছরে তালতলী শহরের অন্তত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি হয়েছে। কিন্তু চোর সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশকে জানালেও বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, আল আমিনকে গ্রেপ্তারের খবরে তালতলী বন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম মামুন চোর চক্রের হোতা তার চাচাতো ভাইকে সেল্টার দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আল আমিন আমার চাচাতো ভাই হলেও তার অপরাধের দায়ভার আমি নেব না। তার অপরাধের দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আল আমিনের পক্ষে কোথায় কোন সুপারিশ করেছি বলে নজির নেই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ছোট করতেই এমন অপবাদ দিচ্ছে।
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, আসামী আল আমিনকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060
Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com
আপনার মতামত লিখুন