মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
চ্যানেল এ

দেশব্যাপী আলোচিত আমতলীর সেই খাওয়ার ঘটনায় শোকজ নোটিশ



দেশব্যাপী আলোচিত আমতলীর সেই খাওয়ার ঘটনায় শোকজ নোটিশ

দেশব্যাপী আলোচিত বিএনপির নেতাকর্মী-কর্মীদের দাওয়াত না দেয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা সকল খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে এ নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অপর দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনার অন্তরালে কলকাঠি নারা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন দায়সারা শালিস ব্যবস্থা করেছেন এমন অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেনের।


জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ৪ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়। আমতলী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফজলুল হককে কমিটির সভাপতি করা হয়। ওই কমিটির প্রথম সভা গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভা উপলক্ষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথির জন্য ওইদিন দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেনের অভিযোগ কমিটি গঠনের আগে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তাকে কমিটির সভাপতি করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাকে সভাপতি না ক্ষুব্দ হন তিনি।

এর প্রতিশোধ নিতেই তিনি তার সহযোগী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজী ও ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ নেতাকর্মী পাঠিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আয়োজিত খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন। পরে তারা শিক্ষক, কর্মচারী ও সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। তাদের ভয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইনী ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত গুলিশাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি রিপন কাজী তার ফেইসবুক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রæপ ছবি দিয়ে পোষ্ট করেন ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নিন্দার ঝড় ওঠে।

ঘটনার চার দিন পর বিভিন্ন পত্রিকায় খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে গেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মুহুর্তের মধ্যে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ওঠে।

এ ঘটনার ধামাচাপা দিতে বুধবার বিকেলে ঘটনার অন্তরালে কলকাঠি নারা গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফারুক আকন মাদ্রাসায় শালিস বৈঠকে বসেন।

ওই বৈঠকে তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মিলে মিশে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাদের সিধান্ত না মেনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহবুব কাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।  
ওই মাদ্রাসার সহাকরী শিক্ষক মিজানুর মাদবর বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের দাওয়াত না দেয়ায় কারন রিপন হাজী ফোনে জানতে চান। পরে মাহবুব কাজী, রিপন কাজী,  মিজানুর, নাশির মৃধা, সুমন কাজী, সাইদুল মাদবর, সফিক মৃধা ও  জলিল ঘরামীসহ ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী এসে খাবার খেয়ে এবং নষ্ট করে যান।

তিনি আরো বলেন, অবশিষ্ট খাবার অতিথিরা যাতে খেতে না পারে তার জন্য খাবারের পাতিলে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট খাবার ও নোংড়া পানি ফেলে রাখেন তারা।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন  বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজী বলেন. আমি কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। তবে মৌখিকখভাবে নোটিশের কথা শুনেছি।

ন.ম.ম আমজাদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেন বলেন, কমিটি গঠনের আগে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তাকে কমিটির সভাপতি করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নানাবিধ কারনে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতে তিনি ক্ষুব্দ হন।

এর প্রতিশোধ নিতেই তিনি তার সহযোগী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মাহবুব কাজী ও ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ নেতাকর্মী পাঠিয়ে অতিথির জন্য আয়োজিত খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন। তিনি আরো বলেন, গত বুধবার অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আকন মাদ্রাসায় এসে শালিস বৈঠকে বসেন।

ওই বৈঠকে তিনি (জসিম) আমাকে কিছুই ঘটেনি মর্মে ভিডিওতে বক্তব্য দিতে বলেন কিন্তু আমি তা না দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যাই।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ফজলুল হক আমাকে মাদ্রাসার ঝামেলার নিরসনে যেতে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে মাদ্রাসায় গিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।


আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, মাহবুব কাজী একটি মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা করে দলীয় ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব-শরীরে  উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়নে লিখিত কোন কমিটি দেয়া হয়নি। তবে বর্ধিত সভায় মাহবুব কাজী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তবে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কের শালিস বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ উপেক্ষা করে তার এমন কাজ করা ঠিক হয়নি।  

আপনার মতামত লিখুন

চ্যানেল এ

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫


দেশব্যাপী আলোচিত আমতলীর সেই খাওয়ার ঘটনায় শোকজ নোটিশ

প্রকাশের তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image

দেশব্যাপী আলোচিত বিএনপির নেতাকর্মী-কর্মীদের দাওয়াত না দেয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা সকল খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে এ নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অপর দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনার অন্তরালে কলকাঠি নারা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন দায়সারা শালিস ব্যবস্থা করেছেন এমন অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেনের।


জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি গত ৪ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়। আমতলী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফজলুল হককে কমিটির সভাপতি করা হয়। ওই কমিটির প্রথম সভা গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভা উপলক্ষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথির জন্য ওইদিন দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেনের অভিযোগ কমিটি গঠনের আগে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তাকে কমিটির সভাপতি করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাকে সভাপতি না ক্ষুব্দ হন তিনি।

এর প্রতিশোধ নিতেই তিনি তার সহযোগী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজী ও ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ নেতাকর্মী পাঠিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আয়োজিত খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন। পরে তারা শিক্ষক, কর্মচারী ও সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। তাদের ভয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইনী ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত গুলিশাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি রিপন কাজী তার ফেইসবুক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রæপ ছবি দিয়ে পোষ্ট করেন ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নিন্দার ঝড় ওঠে।

ঘটনার চার দিন পর বিভিন্ন পত্রিকায় খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে গেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মুহুর্তের মধ্যে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ওঠে।

এ ঘটনার ধামাচাপা দিতে বুধবার বিকেলে ঘটনার অন্তরালে কলকাঠি নারা গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফারুক আকন মাদ্রাসায় শালিস বৈঠকে বসেন।

ওই বৈঠকে তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মিলে মিশে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাদের সিধান্ত না মেনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহবুব কাজীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।  
ওই মাদ্রাসার সহাকরী শিক্ষক মিজানুর মাদবর বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের দাওয়াত না দেয়ায় কারন রিপন হাজী ফোনে জানতে চান। পরে মাহবুব কাজী, রিপন কাজী,  মিজানুর, নাশির মৃধা, সুমন কাজী, সাইদুল মাদবর, সফিক মৃধা ও  জলিল ঘরামীসহ ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী এসে খাবার খেয়ে এবং নষ্ট করে যান।

তিনি আরো বলেন, অবশিষ্ট খাবার অতিথিরা যাতে খেতে না পারে তার জন্য খাবারের পাতিলে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট খাবার ও নোংড়া পানি ফেলে রাখেন তারা।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন  বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাহবুব কাজী বলেন. আমি কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। তবে মৌখিকখভাবে নোটিশের কথা শুনেছি।

ন.ম.ম আমজাদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আলী হোসেন বলেন, কমিটি গঠনের আগে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তাকে কমিটির সভাপতি করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু নানাবিধ কারনে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতে তিনি ক্ষুব্দ হন।

এর প্রতিশোধ নিতেই তিনি তার সহযোগী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মাহবুব কাজী ও ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ নেতাকর্মী পাঠিয়ে অতিথির জন্য আয়োজিত খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন। তিনি আরো বলেন, গত বুধবার অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আকন মাদ্রাসায় এসে শালিস বৈঠকে বসেন।

ওই বৈঠকে তিনি (জসিম) আমাকে কিছুই ঘটেনি মর্মে ভিডিওতে বক্তব্য দিতে বলেন কিন্তু আমি তা না দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যাই।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ফজলুল হক আমাকে মাদ্রাসার ঝামেলার নিরসনে যেতে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে মাদ্রাসায় গিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।


আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, মাহবুব কাজী একটি মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা করে দলীয় ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ব-শরীরে  উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়নে লিখিত কোন কমিটি দেয়া হয়নি। তবে বর্ধিত সভায় মাহবুব কাজী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তবে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কের শালিস বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ উপেক্ষা করে তার এমন কাজ করা ঠিক হয়নি।  


চ্যানেল এ

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060

Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com


কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত