শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
চ্যানেল এ

বগুড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালন করলো শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’



বগুড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালন করলো শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)’ আয়োজন করলো সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘পাখিবান্ধব নগর ও সম্প্রদায় গঠন’, যার মূল লক্ষ্য হলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলা এবং প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।

‘তীর’-এর বিহার হাট আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার হাটে। এতে উপস্থিত ছিলেন ‘তীর’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা ও সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা।

আলোচনা সভা শেষে পরিযায়ী পাখির খাদ্য ও আবাসস্থলের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন তীরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আশা মনি। বক্তব্য রাখেন বিহার হাট আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা জনাব মো. আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা জনাব মো. তৌফিক হাসান হিমু, ও আঞ্চলিক সভাপতি মো. মাসুদ রানা জয়।

বক্তব্যে জনাব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “২০০৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পরিযায়ী পাখিদের রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে, খাদ্য সংকটে পড়ছে তারা। এর পাশাপাশি অবৈধ শিকার ও পাচারের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে বহু প্রজাতি।”

আশা মনি বলেন, “বিশ্বের প্রায় ১০ হাজার পাখি প্রজাতির মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮৫৫ প্রজাতি পরিযায়ী। বাংলাদেশে প্রতিবছর শীতে প্রায় ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে, যাদের অধিকাংশই আসে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, সাইবেরিয়া ও চীন থেকে। বিহার হাটের শামুকখোল কলোনিটি এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল, যা ‘তীর’-এর সদস্যরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছেন।”

আঞ্চলিক সভাপতি মো. মাসুদ রানা জয় বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরিযায়ী পাখি শিকার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে ২ বছর কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ‘তীর’ সংগঠনটি পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালে সংগঠনটি জাতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার লাভ করে, যা তরুণ প্রজন্মের পরিবেশসচেতনতা ও কার্যকর উদ্যোগের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি।

আপনার মতামত লিখুন

চ্যানেল এ

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫


বগুড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালন করলো শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’

প্রকাশের তারিখ : ১২ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর)’ আয়োজন করলো সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘পাখিবান্ধব নগর ও সম্প্রদায় গঠন’, যার মূল লক্ষ্য হলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলা এবং প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।

‘তীর’-এর বিহার হাট আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার হাটে। এতে উপস্থিত ছিলেন ‘তীর’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা ও সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা।

আলোচনা সভা শেষে পরিযায়ী পাখির খাদ্য ও আবাসস্থলের উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন তীরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আশা মনি। বক্তব্য রাখেন বিহার হাট আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা জনাব মো. আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা জনাব মো. তৌফিক হাসান হিমু, ও আঞ্চলিক সভাপতি মো. মাসুদ রানা জয়।

বক্তব্যে জনাব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “২০০৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পরিযায়ী পাখিদের রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে, খাদ্য সংকটে পড়ছে তারা। এর পাশাপাশি অবৈধ শিকার ও পাচারের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে বহু প্রজাতি।”

আশা মনি বলেন, “বিশ্বের প্রায় ১০ হাজার পাখি প্রজাতির মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮৫৫ প্রজাতি পরিযায়ী। বাংলাদেশে প্রতিবছর শীতে প্রায় ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে, যাদের অধিকাংশই আসে ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, সাইবেরিয়া ও চীন থেকে। বিহার হাটের শামুকখোল কলোনিটি এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল, যা ‘তীর’-এর সদস্যরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছেন।”

আঞ্চলিক সভাপতি মো. মাসুদ রানা জয় বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরিযায়ী পাখি শিকার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে ২ বছর কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে ‘তীর’ সংগঠনটি পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালে সংগঠনটি জাতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার লাভ করে, যা তরুণ প্রজন্মের পরিবেশসচেতনতা ও কার্যকর উদ্যোগের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি।


চ্যানেল এ

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060

Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com


কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত