শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
চ্যানেল এ

ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত



ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সিকান্দার খালী গ্রামে প্রতিবেশীর ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।


আহতদের মধ্যে মামুন মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বাবা হুমায়ুন কবির বয়াতি ও মা মোরশেদা বেগম রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামুন মিয়ার একটি ছাগল প্রতিবেশী নসা পঞ্চায়েতের খেতে লাগানো কলমি শাক খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নসার স্ত্রী তাসমিমা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে লাথি মারেন। পরে তাসমিমা বেগম হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেল তিনটার দিকে মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জানালা ও দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বেধড়ক মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।


জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছাগল খেতে যাওয়া নিয়ে সকালে ঝগড়া হয়েছিল। বিকেলে হঠাৎ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার আর নগদ টাকা নিয়ে যায়।


মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, নসা পঞ্চায়েত ও জালাল আহমেদ মৃধার নেতৃত্বে আল-আমিনসহ ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবা-মা বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।


আহত হুমায়ুন কবির বয়াতি বলেন, ছেলে-বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই, তখন আমাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।


প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নসা পঞ্চায়েত বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।


আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

চ্যানেল এ

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫


ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত

প্রকাশের তারিখ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ সিকান্দার খালী গ্রামে প্রতিবেশীর ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।


আহতদের মধ্যে মামুন মিয়া, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বাবা হুমায়ুন কবির বয়াতি ও মা মোরশেদা বেগম রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামুন মিয়ার একটি ছাগল প্রতিবেশী নসা পঞ্চায়েতের খেতে লাগানো কলমি শাক খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় মামুনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও নসার স্ত্রী তাসমিমা বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে লাথি মারেন। পরে তাসমিমা বেগম হুমকি দিয়ে চলে যান। বিকেল তিনটার দিকে মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জানালা ও দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বেধড়ক মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।


জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ছাগল খেতে যাওয়া নিয়ে সকালে ঝগড়া হয়েছিল। বিকেলে হঠাৎ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার আর নগদ টাকা নিয়ে যায়।


মামুন মিয়া অভিযোগ করেন, নসা পঞ্চায়েত ও জালাল আহমেদ মৃধার নেতৃত্বে আল-আমিনসহ ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। বাবা-মা বাঁচাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।


আহত হুমায়ুন কবির বয়াতি বলেন, ছেলে-বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই, তখন আমাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।


প্রতিবেশীরা জানান, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত ছিল এবং তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নসা পঞ্চায়েত বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।


আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চ্যানেল এ

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060

Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com


কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত