শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
চ্যানেল এ

আমতলীতে থানা থেকে জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ লুট



আমতলীতে থানা থেকে জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ লুট
দিবালোকে থানার ভেতরেই মাছ লুট, এলাকায় চাঞ্চল্য — প্রশাসনের গাফিলতি অভিযোগ

বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ থানা থেকে লুট হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমতলী, তালতলী ও কলাপাড়া উপজেলার অসাধু জেলেরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অবাধে মাছ শিকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব জেলেদের কাছ থেকে চারটি পরিবহন গাড়িতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচারের সময় প্রায় ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ। পরে মাছগুলো আমতলী থানায় মজুদ রাখা হয়।

সন্ধ্যার দিকে জব্দকৃত মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ শুরু করা হলে ওই সময় দুই শতাধিক মানুষ থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা সবার সামনে থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে থানার ভেতর এমন লুটের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পুলিশের সামনেই মাছ লুট হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। উপজেলা প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তারা আরও জানান, এর আগের দিন রাতেও জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তা সংরক্ষণ ও বিতরণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, “পুলিশের সামনে থেকে জব্দকৃত মাছ লুট হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।”

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, “আমি বর্তমানে প্রশিক্ষণে আছি। জব্দকৃত ১৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের সময় শতাধিক অজ্ঞাত লোক এসে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।”

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “জব্দকৃত অর্ধেক মাছ বিতরণ করা হয়েছে, বাকিগুলো জনতা নিয়ে গেছে। ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।”

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত স্থান — সেখান থেকে মাছ লুট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবুও যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপনার মতামত লিখুন

চ্যানেল এ

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫


আমতলীতে থানা থেকে জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ লুট

প্রকাশের তারিখ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দকৃত ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ মাছ থানা থেকে লুট হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে সাগর ও নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমতলী, তালতলী ও কলাপাড়া উপজেলার অসাধু জেলেরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অবাধে মাছ শিকার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব জেলেদের কাছ থেকে চারটি পরিবহন গাড়িতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচারের সময় প্রায় ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ। পরে মাছগুলো আমতলী থানায় মজুদ রাখা হয়।

সন্ধ্যার দিকে জব্দকৃত মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণ শুরু করা হলে ওই সময় দুই শতাধিক মানুষ থানা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা সবার সামনে থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে থানার ভেতর এমন লুটের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পুলিশের সামনেই মাছ লুট হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। উপজেলা প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তারা আরও জানান, এর আগের দিন রাতেও জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তা সংরক্ষণ ও বিতরণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শী গাজী নাসির উদ্দিন বলেন, “পুলিশের সামনে থেকে জব্দকৃত মাছ লুট হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।”

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, “আমি বর্তমানে প্রশিক্ষণে আছি। জব্দকৃত ১৫০০ কেজি মাছ ৫০টি এতিমখানায় বিতরণের সময় শতাধিক অজ্ঞাত লোক এসে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে।”

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “জব্দকৃত অর্ধেক মাছ বিতরণ করা হয়েছে, বাকিগুলো জনতা নিয়ে গেছে। ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।”

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। থানা একটি সুরক্ষিত স্থান — সেখান থেকে মাছ লুট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবুও যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


চ্যানেল এ

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060

Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com


কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত