ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবছর ধানের আবাদ হয়েছে মোট ২৫,১৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মাঠে দেখা গেছে—ধানের বাম্পার ফলনের আশা থাকলেও কৃষকদের মনোযোগ এখন ফলনের পাশাপাশি টেকসই চাষাবাদে।
পীরগঞ্জের ভোমরাদহ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল করিম (৪৮) জানান, “আগে আমরা দেশি জাতের ধান বেশি চাষ করতাম। কিন্তু এখন আবহাওয়া একেবারে উল্টেপাল্টে গেছে। কখন বৃষ্টি হবে, কখন খরা—কিছুই বোঝা যায় না। তাই ব্রি-৫১ বা ব্রি-৩৪ জাতের ধান লাগাই, যাতে একটু নিশ্চিন্ত থাকা যায়।”
একই কথা জানালেন ৮ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সাগুনী গ্রামের কৃষক দেবেন্দ্রনাথ (৩২)। তিনি বলেন, “স্বর্ণা জাতটা একটু কম সময়ে ফলন দেয়, পানি কম লাগায়, আর রোগবালাইও কম। তাই এখন অনেকেই এই জাতের ধান লাগাচ্ছে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, "এবছর পীরগঞ্জে প্রধানত ব্রি-৫১, স্বর্ণা ও ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ হচ্ছে। এগুলো তুলনামূলকভাবে খরা ও অতিবৃষ্টির মতো জলবায়ুগত চাপে সহনশীল।" তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে আমাদের এলাকায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। তাই অভিযোজনযোগ্য জাতের ধান চাষ করাই এখন সময়ের দাবি।”
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রি-৫১ জাতের ধান গড়ে প্রতি হেক্টরে ৫.৫ থেকে ৬ টন পর্যন্ত ফলন দেয়। এই জাতের মূল সুবিধা হলো স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিপক্বতা লাভ করা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহনশীলতা। ফলে জলবায়ুর অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও কৃষকের ক্ষতির আশঙ্কা কম।

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবছর ধানের আবাদ হয়েছে মোট ২৫,১৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ শতাংশ ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মাঠে দেখা গেছে—ধানের বাম্পার ফলনের আশা থাকলেও কৃষকদের মনোযোগ এখন ফলনের পাশাপাশি টেকসই চাষাবাদে।
পীরগঞ্জের ভোমরাদহ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল করিম (৪৮) জানান, “আগে আমরা দেশি জাতের ধান বেশি চাষ করতাম। কিন্তু এখন আবহাওয়া একেবারে উল্টেপাল্টে গেছে। কখন বৃষ্টি হবে, কখন খরা—কিছুই বোঝা যায় না। তাই ব্রি-৫১ বা ব্রি-৩৪ জাতের ধান লাগাই, যাতে একটু নিশ্চিন্ত থাকা যায়।”
একই কথা জানালেন ৮ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সাগুনী গ্রামের কৃষক দেবেন্দ্রনাথ (৩২)। তিনি বলেন, “স্বর্ণা জাতটা একটু কম সময়ে ফলন দেয়, পানি কম লাগায়, আর রোগবালাইও কম। তাই এখন অনেকেই এই জাতের ধান লাগাচ্ছে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, "এবছর পীরগঞ্জে প্রধানত ব্রি-৫১, স্বর্ণা ও ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ হচ্ছে। এগুলো তুলনামূলকভাবে খরা ও অতিবৃষ্টির মতো জলবায়ুগত চাপে সহনশীল।" তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে আমাদের এলাকায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। তাই অভিযোজনযোগ্য জাতের ধান চাষ করাই এখন সময়ের দাবি।”
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রি-৫১ জাতের ধান গড়ে প্রতি হেক্টরে ৫.৫ থেকে ৬ টন পর্যন্ত ফলন দেয়। এই জাতের মূল সুবিধা হলো স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিপক্বতা লাভ করা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা সহনশীলতা। ফলে জলবায়ুর অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও কৃষকের ক্ষতির আশঙ্কা কম।

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060
Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com
আপনার মতামত লিখুন