স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লিয়াবাদ থেকে খানাবাদ কলেজ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনো পাকা হয়নি। উপকূলীয় অঞ্চলের এই সড়কটি কাঁচা থাকায় বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়। ফলে প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নানাবিধ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ার আমখোলা রাস্তা নামক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। এই পথেই মুসুল্লিয়াবাদ এ.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, রয়েছে রাখাইন পল্লী, ও ১২৪ নং পশ্চিম দিয়ার আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা যাওয়া-আসা করে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক ও কষ্টকর এক যাত্রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে রাস্তা চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের হাঁটুসমান কাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকদের সন্তানদের কোলে নিয়েও যাতায়াত করতে দেখা যায়। শুধু শিক্ষার্থী নয়, রোগী পরিবহন, কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামে মসজিদে যাতায়াতসহ সব ক্ষেত্রেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিশ্রিপাড়া, মুসুল্লিয়াবাদ, আজিমপুর, দিয়ার আমখোলা সহ কেরাতুল কুরআন মাদ্রাসা, আশপাশের গ্রামের শিক্ষার্থীদের এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাই স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করা হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোলেমান বলেন, নির্বাচনের সময় নেতারা এসে প্রতিশ্রুতি দেন ভোট দিলে রাস্তা পাকা করে দিবে। কিন্তু ভোট চলে গেলে আর খোঁজ থাকে না। এই রাস্তাটি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এখানে এক রাস্তায় ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং মসজিদ মিলিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শত শত শিক্ষার্থী ও তিন-চারটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। বিশেষ করে বর্ষা এলেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও একই সুরে জানান, বর্ষা মৌসুমে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো কঠিন হয়ে ওঠে। কাদায় পড়ে গিয়ে অনেক সময় তারা আহতও হয়।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ও দাবি, দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মুসুল্লিয়াবাদ থেকে খানাবাদ কলেজ পর্যন্ত সড়কটি পাকা করা হক। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।
বিষয় : কুয়াকাটা

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লিয়াবাদ থেকে খানাবাদ কলেজ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখনো পাকা হয়নি। উপকূলীয় অঞ্চলের এই সড়কটি কাঁচা থাকায় বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়। ফলে প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নানাবিধ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ার আমখোলা রাস্তা নামক এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। এই পথেই মুসুল্লিয়াবাদ এ.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, রয়েছে রাখাইন পল্লী, ও ১২৪ নং পশ্চিম দিয়ার আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা যাওয়া-আসা করে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক ও কষ্টকর এক যাত্রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে রাস্তা চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের হাঁটুসমান কাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় অভিভাবকদের সন্তানদের কোলে নিয়েও যাতায়াত করতে দেখা যায়। শুধু শিক্ষার্থী নয়, রোগী পরিবহন, কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান জামে মসজিদে যাতায়াতসহ সব ক্ষেত্রেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিশ্রিপাড়া, মুসুল্লিয়াবাদ, আজিমপুর, দিয়ার আমখোলা সহ কেরাতুল কুরআন মাদ্রাসা, আশপাশের গ্রামের শিক্ষার্থীদের এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাই স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করা হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোলেমান বলেন, নির্বাচনের সময় নেতারা এসে প্রতিশ্রুতি দেন ভোট দিলে রাস্তা পাকা করে দিবে। কিন্তু ভোট চলে গেলে আর খোঁজ থাকে না। এই রাস্তাটি আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। এখানে এক রাস্তায় ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং মসজিদ মিলিয়ে প্রায় ৫ থেকে ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শত শত শিক্ষার্থী ও তিন-চারটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। বিশেষ করে বর্ষা এলেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও একই সুরে জানান, বর্ষা মৌসুমে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো কঠিন হয়ে ওঠে। কাদায় পড়ে গিয়ে অনেক সময় তারা আহতও হয়।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ও দাবি, দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মুসুল্লিয়াবাদ থেকে খানাবাদ কলেজ পর্যন্ত সড়কটি পাকা করা হক। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060
Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com
আপনার মতামত লিখুন