মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
চ্যানেল এ

আমতলীতে ১২ বছর পর মীমাংসিত বিষয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের



আমতলীতে ১২ বছর পর মীমাংসিত বিষয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের

১২ বছর পরে মিমাংশিত বিষয়ে হয়রানী করতেই সামসুল হক মৃধা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ করেন মামলার আসামী আব্দুল গাফফার আকন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে লিখিত এমন অভিযোগ করেন তিনি।  দ্রুত হয়রানীমুলক এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।

জানাগেছে, ২০১৩ সালে উপজেলার সোনাখালী গ্রামের সামসুল হক মৃধার সঙ্গে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে আব্দুল মান্নান আকনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে সামসুল হক মৃধা বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে নির্দেশ দেন।  গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে উভয় পক্ষকে মিমাংশা করে দেন। তদানুসারে লিখিত চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে উভয় পক্ষ জমি ভোগদখল করে আসছেন। 

কিন্তু ১২ বছর পরে  গতকাল বুধবার মিমাংশিত ওই বিষয়ে সামসুল হক মৃধা বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকনকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে ভুমি অপরাধ ও প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীর আব্দুল গাফফার আকনের অভিযোগ হয়রানী করতে তাকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।

মামলার আসামী আব্দুস গাফফার আকন বলেন, সামসুল হক মৃধা হয়রানী করলেই মিমাংশিত একটি বিষয় নিয়ে আমাকে, আমার বৃদ্ধ বাবা ও ভাইকে আসামী করে মামলা করেছেন। দ্রুত এ হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।  

মামলার বাদী সামসুল হক মৃধা বলেন, আগে মিমাংশা হলেও আমি আমার জমি বুঝে পাইনি। তাই জমি বুঝে পেতে আদালতে মামলা করেছি। তবে এতো বছর কিভাবে জমি ভোগদখল করলেন এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি?

গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, আদালতের নথিপত্র পাইনি। নথিপত্র পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।  

বিষয় : আমতলী

আপনার মতামত লিখুন

চ্যানেল এ

মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫


আমতলীতে ১২ বছর পর মীমাংসিত বিষয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের

প্রকাশের তারিখ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image

১২ বছর পরে মিমাংশিত বিষয়ে হয়রানী করতেই সামসুল হক মৃধা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ করেন মামলার আসামী আব্দুল গাফফার আকন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে লিখিত এমন অভিযোগ করেন তিনি।  দ্রুত হয়রানীমুলক এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।

জানাগেছে, ২০১৩ সালে উপজেলার সোনাখালী গ্রামের সামসুল হক মৃধার সঙ্গে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে আব্দুল মান্নান আকনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে সামসুল হক মৃধা বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে নির্দেশ দেন।  গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে উভয় পক্ষকে মিমাংশা করে দেন। তদানুসারে লিখিত চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে উভয় পক্ষ জমি ভোগদখল করে আসছেন। 

কিন্তু ১২ বছর পরে  গতকাল বুধবার মিমাংশিত ওই বিষয়ে সামসুল হক মৃধা বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল গাফফার আকনকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে ভুমি অপরাধ ও প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীর আব্দুল গাফফার আকনের অভিযোগ হয়রানী করতে তাকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।

মামলার আসামী আব্দুস গাফফার আকন বলেন, সামসুল হক মৃধা হয়রানী করলেই মিমাংশিত একটি বিষয় নিয়ে আমাকে, আমার বৃদ্ধ বাবা ও ভাইকে আসামী করে মামলা করেছেন। দ্রুত এ হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।  

মামলার বাদী সামসুল হক মৃধা বলেন, আগে মিমাংশা হলেও আমি আমার জমি বুঝে পাইনি। তাই জমি বুঝে পেতে আদালতে মামলা করেছি। তবে এতো বছর কিভাবে জমি ভোগদখল করলেন এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি?

গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, আদালতের নথিপত্র পাইনি। নথিপত্র পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।  


চ্যানেল এ

মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060

Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com


কপিরাইট © ২০২৫ চ্যানেল এ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত