
বরগুনার আমতলী পৌরসভার অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতি বছর ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক এ ব্যবসায়ীরা ধারদেনা করে গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে লাখ লাখ টাকার চামড়া কিনে থাকেন। তবে এবছর বাজারে চামড়ার দরপতনের কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
আমতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৫৩১টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ৫ হাজার ৪শ’ গরু, ৭০টি মহিষ ও ৮৬০টি ছাগল। এসব পশুর অধিকাংশ চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনে লবণ দিয়ে গুদামে সংরক্ষণ করেছেন। তবে সোয়া দুই মাস পরও এসব চামড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে তারা হতাশ হচ্ছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন গুদামে গিয়ে দেখা গেছে, লবণ দেওয়া শত শত গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া স্তুপ আকারে পড়ে আছে। কিন্তু দরপতনের কারণে পাইকাররা কিনতে চাইছেন না। কেউ কিনলেও দিচ্ছেন ক্রয়মূল্যের অর্ধেক দাম।
আমতলী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খুচরা চামড়া ব্যবসায়ী মাওলানা মো. সুলাইমান বলেন, ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনছে না। তাই আমরাও কিছু করতে পারছি না। কেনা দামেও যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে পাওনাদারের কারণে এলাকা ছাড়তে হবে। একই অভিযোগ করেছেন অন্য ব্যবসায়ীরাও।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. সাকিব বলেন, ধার দেনা করে পৌনে দুই লক্ষ টাকায় ২৫০টি গরুর চামড়া কিনেছি। কিন্তু পাইকাররা মাত্র ৭০-৮০ হাজার টাকা দাম বলছেন। বাকি টাকা মেটাবো কীভাবে সেই চিন্তায় আছি।
আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার ব্যবসায়ী গাজী মো. আব্দুল মন্নান জানান, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনেছি। এখন বিক্রি করতে গেলে অর্ধেকেরও কম দাম দিচ্ছে পাইকাররা। এতে পথে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।
অন্যদিকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিদেশী অর্ডার বাতিল হওয়া, ডলার সংকট এবং কেমিকেলের দাম বাড়ায় ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনছেন না। ফলে দেশের বাজারে দরপতন ঘটেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, চামড়ার দরপতনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিষয় : আমতলী
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বরগুনার আমতলী পৌরসভার অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতি বছর ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক এ ব্যবসায়ীরা ধারদেনা করে গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে লাখ লাখ টাকার চামড়া কিনে থাকেন। তবে এবছর বাজারে চামড়ার দরপতনের কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
আমতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৫৩১টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ৫ হাজার ৪শ’ গরু, ৭০টি মহিষ ও ৮৬০টি ছাগল। এসব পশুর অধিকাংশ চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনে লবণ দিয়ে গুদামে সংরক্ষণ করেছেন। তবে সোয়া দুই মাস পরও এসব চামড়া পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে তারা হতাশ হচ্ছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন গুদামে গিয়ে দেখা গেছে, লবণ দেওয়া শত শত গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া স্তুপ আকারে পড়ে আছে। কিন্তু দরপতনের কারণে পাইকাররা কিনতে চাইছেন না। কেউ কিনলেও দিচ্ছেন ক্রয়মূল্যের অর্ধেক দাম।
আমতলী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খুচরা চামড়া ব্যবসায়ী মাওলানা মো. সুলাইমান বলেন, ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনছে না। তাই আমরাও কিছু করতে পারছি না। কেনা দামেও যদি বিক্রি করতে না পারি তাহলে পাওনাদারের কারণে এলাকা ছাড়তে হবে। একই অভিযোগ করেছেন অন্য ব্যবসায়ীরাও।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. সাকিব বলেন, ধার দেনা করে পৌনে দুই লক্ষ টাকায় ২৫০টি গরুর চামড়া কিনেছি। কিন্তু পাইকাররা মাত্র ৭০-৮০ হাজার টাকা দাম বলছেন। বাকি টাকা মেটাবো কীভাবে সেই চিন্তায় আছি।
আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার ব্যবসায়ী গাজী মো. আব্দুল মন্নান জানান, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনেছি। এখন বিক্রি করতে গেলে অর্ধেকেরও কম দাম দিচ্ছে পাইকাররা। এতে পথে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।
অন্যদিকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন জানান, বিদেশী অর্ডার বাতিল হওয়া, ডলার সংকট এবং কেমিকেলের দাম বাড়ায় ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনছেন না। ফলে দেশের বাজারে দরপতন ঘটেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, চামড়ার দরপতনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মোবাইল নাম্বারঃ +8801602460060
Email: hr.channela@gmail.com
বিজ্ঞাপনঃ +8801602460060
info@channelabd.com
আপনার মতামত লিখুন