গত মঙ্গলবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বিধবা ৩ বোন। তারা হলেন উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চৌয়ারীপাড়া গ্রামের আজাহার আলী খানের মেয়ে নাদিরা আলম খান, শামীমা বেগম ও রানু বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা জোটবদ্ধ হয়ে তাদের জমি দখল করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদল নেতা লিটন। তার সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী ও ইউপি সদস্য আ. জলিলসহ আরো কয়েকজন।
তারা আরো জানান, বানারীপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দিলেও তা তোয়াক্কা করেননি দখলদাররা।
তিন বোনের অভিযোগ, পুলিশ আদালতের স্থিতাবস্থা আমলে নেয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মৃধা জানান, অভিযোগকারী তিন বোন তার চাচাতো খালা। বিরোধপূর্ণ জমিটি উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে সম্প্রতি তিনি রেকর্ড করেছেন। এতে প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তার ওপর হামলার মামলায় দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
দখলচেষ্টার সঙ্গে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ কর্মী ও ইউপি সদস্য আ. জলিল জানান, তিনি বিএনপি করেন। আওয়ামী লীগ আমলে তাকে ওই দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। জমিসংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্তা নেই। জমি বিক্রির জন্য লিটন বিএনপির কয়েকজনকে আমমোক্তারনামা দিয়েছেন। তারা কিছুদিন আগে ওই জমি দখল করেছেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ পেয়েছি সোমবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতার নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে।’
একপক্ষের দুজনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জমি নিয়ে মারামারি ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’